শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ঘুমের আগে ত্বকের যত্নে

শীত চলে এলে ত্বকের যে বিশেষ যত্ন দরকার তা আমাদের সবারই জানা। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না কখন নেবেন ত্বকের যত্ন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বা দুপুরে গোসলের পর তো বটেই, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ত্বকের দরকার বিশেষ পরিচর্যা। 

 ঘর থেকে আমাদের তো বাইরে যেতেই হয়। আর শীতে যেহেতু ধুলাবালি বেড়ে যায়, তাই সারা দিনের ক্লান্তি শেষে ত্বকের দরকার একটু বিশেষ যত্ন।
শীতের রাত দীর্ঘ সময়ের; তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ বা কোমল সাবান দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর যাঁদের ত্বক কিছুটা শুষ্ক, তাঁরা তৈলাক্ত ক্রিম লাগাতে পারেন। আর যাঁদের ত্বক এমনিতেই তৈলাক্ত তাঁরা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম দিতে পারেন। সংবেদনশীল ত্বক যাঁদের, অর্থাৎ ত্বকে ক্রিম দিলে র‌্যাশ ওঠার মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য শিশুদের উপযোগী ক্রিম.
শীতের শুরুতেই শুষ্কতার আবেশ টের পায় নাজুক ঠোঁট। ঠোঁট ফাটা বা চামড়া ওঠার সমস্যা তো আছেই। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা চ্যাপস্টিক দিতে পারেন। তবে যাঁদের ঠোঁটের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁরা ঠোঁটের ত্বকের ধরন বুঝে লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাত, পা শাওয়ার জেল কিংবা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। পায়ের গোড়ালির মৃত কোষ তুলতে কিছুক্ষণ পা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঝামা দিয়ে ঘষতে হবে। কেননা, সারা দিনের চাপ তো পায়ের ওপর বেশি পড়ে। হাত-পা পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে।
যাঁদের পা ফাটা সমস্যা আছে, তাঁরা ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটু পুরু করে পায়ে ভ্যাসলিন লাগিয়ে সুতির মোজা পরতে পারেন। এতে পা নরম থাকে এবং পা ফাটা প্রতিরোধে বেশ কাজ দেয়। অনেকের আঙুলের ওপরের অংশ ফাটে, এ ক্ষেত্রে আঙুলের কোনার জায়গা পরিষ্কার করে ভ্যাসলিন লাগাতে হবে। সম্ভব হলে সারা শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে নিতে পারেন।
আর যাঁদের হাত ঘামে তাঁরা হাতে লোশন লাগিয়ে হালকা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। তাতে হাত কম ঘামবে এবং লোশনের নরম ভাবটা ত্বকে থেকেই যাবে। শীতের সময় সিনথেটিকজাতীয় কাপড় পরে ঘুমোলে শরীর গরম হয় না, তাই মোটা সুতির কাপড় পরে ঘুমোতে যাওয়া উচিত। সুতির ফুল হাতার গাউন বা ম্যাক্সি পরলে হাত-পায়ের ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন