ষড়্ঋতুর এ দেশে ঋতুর পালাবদলে শীতের আগমনটা চোখে আঁচ করতে পারুন আর না-ই পারুন, আপনার টানটান ত্বক নিশ্চয়ই তা অনুভব করতে পেরেছে!
প্রকৃতির এ রুক্ষতায় ত্বক আর চুল নিয়ে কাবু হওয়ার কিছু নেই। আবহাওয়া-উপযোগী প্রসাধনী নির্বাচন আর একটু বাড়তি পরিচর্যাই হতে পারে এর সহজ সমাধান।
‘ধুলা আর আর্দ্রতাহীনতা তো আছেই। পাশাপাশি শীতের মিঠে রোদটাও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকে ও চুলে। তাই এ সময়ের প্রসাধনী বাছাই করতে হবে এই দিকগুলো মাথায় রেখে।’ এভাবেই বলেন, ম্যাজিক মিরর মেকওভার লাউঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা হালিম হাই। তাঁর পরামর্শ হলো, শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে তেলযুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
সাধারণত আমরা বছরের অন্যান্য সময়ে পানিযুক্ত যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি, তা শীতে কাজ দেয় না। যাঁদের ত্বক বেশি শুষ্ক তাঁরা পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করতে পারেন। যাঁরা মুখমণ্ডলে ক্রিম ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্রিম নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যাঁদের ঘরের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁরা অবশ্যই সানস্কিন ব্যবহার করুন। আপনি কত সময় ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার সানস্কিন বেছে নিন। বাংলাদেশে সাধারণত এসপিএফ-১৫ থেকে এসপিএফ-৪৫ পর্যন্ত সানস্কিন পাওয়া যায়। যাঁরা কেবল ঘণ্টাখানেক সময়ের জন্য বাইরে বেরোবেন, তাঁদের জন্য এসপিএফ-১৫-ই যথেষ্ট। যাঁরা সারা দিনের জন্য বের হবেন, তাঁরা অবশ্যই এসপিএফ-৪৫ সমৃদ্ধ সানস্কিন বেছে নিন। ঠোঁটের হাসিতে সজীবতা ধরে রাখতে ব্যবহার করুন লিপবাম। বাইরে বের হওয়ার আগে এসপিএফ-১৫ সমৃদ্ধ লিপবাম বেছে নিন। শীতে চুলও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। অনেকেই খুশকির সমস্যায়ও ভুগে থাকেন। তাঁরা অবশ্যই অ্যান্টি ড্যানড্রাফ (খুশকি প্রতিরোধক) শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। রোদের প্রখরতা থেকে চুলকে খানিকটা বাঁচাতে পারেন সান প্রটেকশন (সূর্যরশ্মি প্রতিরোধক) জেল বা ক্রিম ব্যবহার করে। তবে রঙিন স্কার্ফখানি তার চেয়ে বেশি কাজ দেবে আপনাকে, বেশ ফ্যাশনেবলও দেখাবে। আমাদের দেশে শীতে যেন উত্সবের ধুম লেগে যায়। সে উত্সবের রঙে সেজে উঠতে বাধা নেই। তবে সজীব আর সতেজ সাজের প্রসাধনও হতে হবে আবহাওয়া উপযোগী। শীতের মেকআপের বেইজ হিসেবে বেছে নিন তেলযুক্ত তরল মেকআপ। এ সময় পাউডারযুক্ত প্রসাধন কম ব্যবহার করাই ভালো। তবে যাঁদের ত্বক অধিকমাত্রায় তৈলাক্ত, তাঁরা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তার ওপর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তরল আইশ্যাডো বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, অনেকেরই চোখের পাপড়ি রুক্ষ হয়ে ওঠে শীতে। কখনো কখনো হালকা খুশকির প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়। তাই পাউডার বা শক্ত স্টিকের আইশ্যাডো ব্যবহার না করাই ভালো। এ সময় বেছে নিন ক্রিমি ব্লাশন। বাজারে লিপস্টিকের মতো একধরনের ব্লাশন খুঁজে পাবেন, এটি লাগিয়ে হাত দিয়ে একটু আলতো ঘষে নিলেই হয়। ঠোঁট সাজাতে ম্যাট লিপস্টিকের চেয়ে লিপগ্লসটাই বেশি উপযোগী। শীতে তো আর ঘেমে কাজল লেপ্টে যাওয়ার ভয় নেই, তাই আপনার পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীল, বেগুনি, সবুজ—যেকোনো কাজলে রাঙিয়ে তুলতে পারেন চোখ।
প্রসাধন ব্যবহারের পর প্রসাধন সঠিকভাবে তুলে ফেলাও জরুরি। বাজার থেকে প্রসাধন তুলে ফেলার সহজ উপকরণ হিসেবে রিমুভিং লোশন কিনে নিতে পারেন। যাঁদের সারা দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রতিদিন ঘরের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁরা ব্যাগের কোণে একটি ছোট প্রসাধন ব্যাগ সার্বক্ষণিক সঙ্গী করে নিতে পারেন। একটা লিপগ্লস, সানস্ক্রিন লোশন, লিকুইড ফাউন্ডেশন আর একটা ফেসওয়াশ, একটু রঙিন কাজল—এই তো আপনার ভ্রাম্যমাণ ছোট্ট প্রসাধন ঘর।
তবে একটি কথা ভুলে যাবেন না। প্রসাধন যেমন আপনাকে সজীব, সতেজ করে সাজিয়ে তুলতে পারে, তেমনি ভুল প্রসাধন নির্বাচন এবং এর অতিরিক্ত প্রয়োগ আপনার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে কেড়েও নিতে পারে। তাই প্রসাধন কেনার সময় অবশ্যই ভালোমানের পণ্য বেছে নিন এবং ব্যবহারের আগে এর ব্যবহার-নির্দেশিকা ও ব্যবহারের সময়সীমা দেখে নিন। প্রসাধন সরাসরি মুখমণ্ডলে ব্যবহার না করে প্রথমে হাতের অল্প একটু অংশে ব্যবহার করে দেখুন, সেটি আপনার ত্বকে সহায়ক কি না। এরপর তা ত্বকে ব্যবহার করুন।
প্রসাধনের পাশাপশি প্রাকৃতিক উপাদানেও এ সময় নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে পারেন। এ ধরনের পরিচর্যার নানা উপায় বলে দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
আমলকীর রস ও এক চামচ তিলের তেল একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে ও চুলে লাগাতে পারেন প্রতিদিন একবার। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা তিলের তেল বাদ দিন।
যাঁদের চুল পড়েছে তাঁরা টকদই, ডিম ও আমলকীর রস চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
চোখের নিচের কালো দাগ ও পাপড়ির খুশকির জন্য পাকা টমেটোর রস ও মধু একত্রে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
নারকেল বা জলপাই তেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
যাঁদের হাত-পা ফাটে, তাঁরা তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন একবার ম্যাসাজ করুন।
প্রকৃতির এ রুক্ষতায় ত্বক আর চুল নিয়ে কাবু হওয়ার কিছু নেই। আবহাওয়া-উপযোগী প্রসাধনী নির্বাচন আর একটু বাড়তি পরিচর্যাই হতে পারে এর সহজ সমাধান।
‘ধুলা আর আর্দ্রতাহীনতা তো আছেই। পাশাপাশি শীতের মিঠে রোদটাও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকে ও চুলে। তাই এ সময়ের প্রসাধনী বাছাই করতে হবে এই দিকগুলো মাথায় রেখে।’ এভাবেই বলেন, ম্যাজিক মিরর মেকওভার লাউঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা হালিম হাই। তাঁর পরামর্শ হলো, শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে তেলযুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
সাধারণত আমরা বছরের অন্যান্য সময়ে পানিযুক্ত যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি, তা শীতে কাজ দেয় না। যাঁদের ত্বক বেশি শুষ্ক তাঁরা পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করতে পারেন। যাঁরা মুখমণ্ডলে ক্রিম ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্রিম নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যাঁদের ঘরের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁরা অবশ্যই সানস্কিন ব্যবহার করুন। আপনি কত সময় ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার সানস্কিন বেছে নিন। বাংলাদেশে সাধারণত এসপিএফ-১৫ থেকে এসপিএফ-৪৫ পর্যন্ত সানস্কিন পাওয়া যায়। যাঁরা কেবল ঘণ্টাখানেক সময়ের জন্য বাইরে বেরোবেন, তাঁদের জন্য এসপিএফ-১৫-ই যথেষ্ট। যাঁরা সারা দিনের জন্য বের হবেন, তাঁরা অবশ্যই এসপিএফ-৪৫ সমৃদ্ধ সানস্কিন বেছে নিন। ঠোঁটের হাসিতে সজীবতা ধরে রাখতে ব্যবহার করুন লিপবাম। বাইরে বের হওয়ার আগে এসপিএফ-১৫ সমৃদ্ধ লিপবাম বেছে নিন। শীতে চুলও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। অনেকেই খুশকির সমস্যায়ও ভুগে থাকেন। তাঁরা অবশ্যই অ্যান্টি ড্যানড্রাফ (খুশকি প্রতিরোধক) শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। রোদের প্রখরতা থেকে চুলকে খানিকটা বাঁচাতে পারেন সান প্রটেকশন (সূর্যরশ্মি প্রতিরোধক) জেল বা ক্রিম ব্যবহার করে। তবে রঙিন স্কার্ফখানি তার চেয়ে বেশি কাজ দেবে আপনাকে, বেশ ফ্যাশনেবলও দেখাবে। আমাদের দেশে শীতে যেন উত্সবের ধুম লেগে যায়। সে উত্সবের রঙে সেজে উঠতে বাধা নেই। তবে সজীব আর সতেজ সাজের প্রসাধনও হতে হবে আবহাওয়া উপযোগী। শীতের মেকআপের বেইজ হিসেবে বেছে নিন তেলযুক্ত তরল মেকআপ। এ সময় পাউডারযুক্ত প্রসাধন কম ব্যবহার করাই ভালো। তবে যাঁদের ত্বক অধিকমাত্রায় তৈলাক্ত, তাঁরা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তার ওপর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তরল আইশ্যাডো বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, অনেকেরই চোখের পাপড়ি রুক্ষ হয়ে ওঠে শীতে। কখনো কখনো হালকা খুশকির প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়। তাই পাউডার বা শক্ত স্টিকের আইশ্যাডো ব্যবহার না করাই ভালো। এ সময় বেছে নিন ক্রিমি ব্লাশন। বাজারে লিপস্টিকের মতো একধরনের ব্লাশন খুঁজে পাবেন, এটি লাগিয়ে হাত দিয়ে একটু আলতো ঘষে নিলেই হয়। ঠোঁট সাজাতে ম্যাট লিপস্টিকের চেয়ে লিপগ্লসটাই বেশি উপযোগী। শীতে তো আর ঘেমে কাজল লেপ্টে যাওয়ার ভয় নেই, তাই আপনার পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীল, বেগুনি, সবুজ—যেকোনো কাজলে রাঙিয়ে তুলতে পারেন চোখ।
প্রসাধন ব্যবহারের পর প্রসাধন সঠিকভাবে তুলে ফেলাও জরুরি। বাজার থেকে প্রসাধন তুলে ফেলার সহজ উপকরণ হিসেবে রিমুভিং লোশন কিনে নিতে পারেন। যাঁদের সারা দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রতিদিন ঘরের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁরা ব্যাগের কোণে একটি ছোট প্রসাধন ব্যাগ সার্বক্ষণিক সঙ্গী করে নিতে পারেন। একটা লিপগ্লস, সানস্ক্রিন লোশন, লিকুইড ফাউন্ডেশন আর একটা ফেসওয়াশ, একটু রঙিন কাজল—এই তো আপনার ভ্রাম্যমাণ ছোট্ট প্রসাধন ঘর।
তবে একটি কথা ভুলে যাবেন না। প্রসাধন যেমন আপনাকে সজীব, সতেজ করে সাজিয়ে তুলতে পারে, তেমনি ভুল প্রসাধন নির্বাচন এবং এর অতিরিক্ত প্রয়োগ আপনার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে কেড়েও নিতে পারে। তাই প্রসাধন কেনার সময় অবশ্যই ভালোমানের পণ্য বেছে নিন এবং ব্যবহারের আগে এর ব্যবহার-নির্দেশিকা ও ব্যবহারের সময়সীমা দেখে নিন। প্রসাধন সরাসরি মুখমণ্ডলে ব্যবহার না করে প্রথমে হাতের অল্প একটু অংশে ব্যবহার করে দেখুন, সেটি আপনার ত্বকে সহায়ক কি না। এরপর তা ত্বকে ব্যবহার করুন।
প্রসাধনের পাশাপশি প্রাকৃতিক উপাদানেও এ সময় নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে পারেন। এ ধরনের পরিচর্যার নানা উপায় বলে দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
আমলকীর রস ও এক চামচ তিলের তেল একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে ও চুলে লাগাতে পারেন প্রতিদিন একবার। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা তিলের তেল বাদ দিন।
যাঁদের চুল পড়েছে তাঁরা টকদই, ডিম ও আমলকীর রস চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
চোখের নিচের কালো দাগ ও পাপড়ির খুশকির জন্য পাকা টমেটোর রস ও মধু একত্রে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
নারকেল বা জলপাই তেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
যাঁদের হাত-পা ফাটে, তাঁরা তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন একবার ম্যাসাজ করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন